মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইস্কাটনের প্রবাসী কল্যাণ ভবনে প্রবাসী কল্যাণ সচিব মো. ইফতেখার হায়দার ও সৌদি আরবের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপমন্ত্রী আহমেদ আল ফাহাদ এই সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
পরে প্রবাসী কল্যাণ সচিব ইফতেখার হায়দার বলেন, “এখন থেকে সৌদি আরবে জনশক্তি রপ্তানির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো। গত দুই দিন দুই পক্ষ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। সবকিছু মিলিয়ে সৌদি আরব গৃহকর্মী নিতে সম্মত হয়েছে।
“গৃহস্থালি খাতে যে ১২টি পেশা রয়েছে এরমধ্যে শুধু গৃহকর্মীদের নূন্যতম মজুরি নির্ধারণ হয়েছে; ৮শ রিয়েল। অন্যান্য ১১টি পেশার কোন মজুরি নির্ধারণ হয়নি।”
একদিন আগে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে দুই দফা বৈঠক শেষে সৌদি আরবের মন্ত্রী আহমেদ আল ফাহাদ বাংলাদেশকে ‘বিশেষ গুরুত্ব’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
১১টি পেশার মজুরি কেন নির্ধারণ হয়নি তা জানতে চাওয়া হলে ইফতেখার হায়দার বলেন, “আমরা (বাংলাদেশ) কোন মানদণ্ড ঠিক করিনি। কারণ আমার শ্রমিকরা অভিজ্ঞ হলে আরও বেশি মজুরি পেতে পারে। যদিও ঠিক করা হয়নি তবে মজুরি কোনভাবে ৮শ রিয়েলের কম হবে না।”
অন্য খাতেও শিগগির কর্মী পাঠানো শুরু হবে বলে জানান তিনি।
প্রবাসী কল্যাণ সচিব জানান, আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী শ্রমিকরা যে পরিমান কাজ করার কথা তা করবে। সেটি না হলে নিয়োগকর্তার সঙ্গে কথা বলে সমঝোতার ভিত্তিতে মজুরি ঠিক হবে। নির্ধারিত সময়ের বেশি কাজ করলে তারা ওভারটাইম পেতে পারেন।
বিদেশে যাওয়া শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি দূতাবাসের মাধ্যমে খোঁজ খবর রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
চুক্তির বিষয়ে সৌদি মন্ত্রী আহমেদ আল ফাহাদ বলেন, “আমরা বাংলাদেশি শ্রমিকদের সব ধরনের অধিকারের বিষয়টি নিশ্চিত করবো, নিয়োগদাতা কর্মীদের থাকা খাওয়ার খরচ বহন করবে। আর তাদের দক্ষতার উপর তাদের মজুরি নির্ধারিত হবে।”
সৌদি আরবকে পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত কর্মক্ষেত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
২০০৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল তেলসমৃদ্ধ দেশ সৌদি আরব, যা এ বছর তুলে নেওয়া হয়।
সরকারি হিসাবে বর্তমানে ১২ লাখ ৮০ হাজার বাংলাদেশি সৌদি আরবে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। এই হিসাবে সৌদি আরবই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার।
নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে প্রায় দেড় লাখ শ্রমিক নিত সৌদি আরব।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস