নারায়ণগঞ্জের নাঙ্গলবন্দ। প্রতিবছর বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে অর্থ্যাৎ মহা-অষ্টমীতে নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দের ব্রহ্মপুত্র নদে অসংখ্য পুণ্যার্থী পুণ্যস্নান করতে আসেন। কিন্তু এখন এ নদের নাব্যতা না থাকায় পুণ্যার্থীরা ঐ ঘোলাজলা বা কাদাজলেই পুণ্যস্নান করে থাকেন।
কারণ সনাতনী বা পুরাণীরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, এ নদে পুণ্যস্নান করতে পারলে অতীতের সব পাপ ধুয়ে মানুষ শুদ্ধ হয়। এমনিভাবে কুরানীরা মক্কায় গিয়ে জমজমের জল পান ও স্নান করেন। ইঞ্জিলীরা জর্ডানে গিয়ে পুণ্যস্নান করেন। অর্থাৎ প্রত্যেক সম্প্রদায়ের লোকজন স্বস্ব শাস্ত্রীয় পবিত্র জল বা তীর্থস্থানের পবিত্র জল দ্বারা স্বস্ব শাস্ত্রীয় বিধান অনুযায়ী এই পুণ্যস্নান করে থাকেন।
লাঙ্গলবন্দের ব্রহ্মপুত্র নদে পুণ্যস্নান করা ব্যাপারে কথিত আছে- এ নদের জল পুরাণোক্ত পরশুরাম মুনিকে পাপমুক্ত করেছিল। অন্যদিকে মহাভারতের বর্ণনা অনুযায়ী ব্রহ্মপুত্র নদের যে স্থানে স্নান করে পরশুরাম মুনি পাপমুক্ত হয়েছিলেন বর্তমানে সেটি নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে অবস্থিত। এ বিশ্বাস নিয়েই পুরাণীরা ব্রহ্মার সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে এখানে স্নান করতে আসেন। পুরাণোক্ত পরশুরাম মুনির পাপমুক্তির কথা স্মরণ করেই কয়েক শত বছর ধরে পুরাণীরা অষ্টমী-পুণ্যস্নান উদ্যাপন করে আসছেন। এছাড়াও ধলেশ্বরী, চিলমারি, সুরমা, পদ্মা ও যমনা নদিতেও বর্তমানে পুণ্যস্নান প্রথার প্রচলন আরম্ভ হয়েছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS